আজ শুক্রবার, ২২শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

স্ত্রীর যৌতুক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর

এপিপি জাসমিন আহমেদ তার স্বামীর বিরুদ্ধে করা যৌতুক মামলায় আবু নকিবের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসেকিউটর জাসমিন আহমেদ তার স্বামী আবু নকিবের বিরুদ্ধে করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যৌতুক মামলায় আসামী রবিবার(৭জুলাই)সকালে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক মোঃশাহীন উদ্দীন জামিন নামঞ্জুর করে পি.ডব্লিউ মূলে ১৬জুলাই আসামীর ধার্য তারিখ আদেশ দিয়ে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।

মামলার সত্যতা স্বীকার করে মামলার বাদী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসেকিউটর জাসমিন আহমেদ বলেন,আসামীরা মামলার আগাম ৬ সপ্তাহের জামিনে থাকার পর ৩জুলাই বুধবার পুনরায় আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন এবং পুনরায় জামিনের জন্য আজ আদালতে আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে পি.ডাব্লিউ মূলে আসামীর জন্য ১৬ জুলাই তারিখ ধার্য করে।

বাদী পক্ষের আইনজীবি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি এড.সিদ্দিকুর রহমান,নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবি সাবেক সভাপতি এড.আব্দুল বারী ভূইয়া,সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এড.মাসুদুর রউফ,নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবি বর্তমান সভাপতি এড.হাসান ফেরদৌস জুয়েল,সিনিয়র সহ-সভাপতি এড.আলী আহম্মেদ, সাধারন সম্পাদক এড.মোহসীন মিয়া,সিনিয়র আইনজীবি এড.সেলিনা ইয়াসমিন সহ শতাধিক আইনজীবি।

উল্লেখ্য,২০০৭ সালের ১৪ ই মে ১০,০১,০০০(দশ লক্ষ এক হাজার টাকা)দেনমোহরে মোঃআবু নঈমের পুত্র মোঃ আবু নকীবের সাথে জুলহাস আহমেদের কন্যা জাসমীন আহমেদর সহিত বিবাহ হয়।বিবাহের সময় পিত্রালয় থেকে নগদ অর্থ ও ২৫ ভরি স্বর্নালংকার ও ১০ লক্ষ টাকার আসবাবপত্র ২-৫ নং বিবাদীর সম্মুখে প্রদান করে।১ নং বিবাদী সন্তান দানে অক্ষম ৩নং বিবাদী গোপন বিবাদী বিবাহ প্রদান করে।যার কারনে বাদীনি মাতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হয়ে মা ডাক শুনতে পাননি।বিয়ের পর থেকেই ১নং বিবাদী ১০ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবী করে বাদীনিকে নির্যাতন করত কিন্তু বাদীনি পরিবারের সম্মানের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময়ে নগদ ১০/১২ লক্ষ টাকা,১ টি প্রাইভেটকার, ১টি মটর সাইকেল এবং ঢাকায় জমি কিনার জন্য নগদ ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করে।এবং ৪ নং বিবাদীকে ব্যবসা করার কাজে ১ লক্ষ টাকা প্রদান এবং ২ নং বিবাদীর লেখাপড়ার খরচ বহন করে আসে।বিবাহের পর থেকেই ১ নং আসামী পর নারী দ্বারা আসক্ত ও অন্যত্র নারীদের রাত্রী যাপন করিত।২-৪ নং বিবাদীদের কুপরামর্শে বাদীনিকে কোন প্রকার সংসার ভরন পোষনের টাকা প্রদান করিত না।১৮/১১/১৮ইং বাসার ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ১ নং বিবাদী বাসা থাকা বাদীনির ৫ লক্ষ টাকা,১০ ভরি স্বর্ণলংকার,দলিলপত্র,মূল্যবান ডকুমেন্ট নিয়ে যায় এবং বাদীনিকে ৫০ লক্ষ টাকার যৌতুকের দাবী করে মারপেট করে বাদীনিকে পিত্রালয়ে রেখে যায়।পরে বাদীনিকে মোবাইলে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করা হয় টাকার জন্য।বাদীনি টাকা দিতে নারাজ হলে বাদীনির সহিত সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয়।বাদীনি আদালতে এসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০সংশোধন(২০০৪)এর ১১(গ)/৩০ধারায় একটি মামলা দায়ের করে।